সড়কে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় খুলনা মহানগরীর প্রবেশপথ গল্লামারীতে দিনে-রাতে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। একইভাবে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, মজিদ সরণি, শিববাড়ী মোড়, সাত রাস্তার মোড়, পাওয়ার হাউস মোড়, ফেরিঘাট, শান্তিধাম মোড়, খানজাহান আলী রোডসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট চরমে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে নাগরিক নেতারা বলেছেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জটিল হচ্ছে খুলনায়। প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় অবৈধ যানবাহন বেড়েছে। তবে পুলিশের দাবি, অতিরিক্ত ইজিবাইকের কারণেই যানজট বেশি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কয়েকটি মূল সড়কে প্লাস্টিকের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে পার্শ্বসড়কে গাড়ি ঘুরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সংযুক্ত কয়েকটি সড়কেও চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাট-নিউমার্কেট-দৌলতপুর রুটে শিববাড়ী মোড়ে মূল সড়কে প্লাস্টিকের ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধকতা) দিয়ে গাড়ি কেডিএর গেটের সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে মূল সড়কে যুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া গল্লামারী রুটে শহর প্রান্তে ব্রিজে ওঠার আগে সোনাডাঙ্গা বা নিরালার দিক থেকে আসা গাড়িগুলো বাঁ পাশের সড়কে সরিয়ে নেওয়া হয়। আবার ব্রিজের অন্য প্রান্তে বটিয়াঘাটা সড়কের মুখে গাড়ি আটকে দিয়ে তা মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে আনা হচ্ছে।


যানজটে ভোগান্তি প্রসঙ্গে নিরাপদ সড়ক চাই, খুলনা মহানগরী শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান জানান, সড়কের মাঝে প্রতিবন্ধকতায় যানজট কমার বদলে বেশি ভোগান্তি তৈরি করছে। কদমতলা থেকে গল্লামারী রুটে যেতে গাড়িগুলোতে ময়লাপোতা মোড়ে বেশ খানিকটা পথ ঘুরতে হচ্ছে। পাশাপাশি সংযুক্ত সড়কে চলাচল বন্ধ থাকায় উল্টোপথে চলছে গাড়ি।


জানা যায়, সিটি করপোরেশন নগরীতে চলাচলের জন্য ৭ হাজার ৯৮০টি যাত্রীবাহী ও পণ্য পরিবহনে ২ হাজার ৯৬টি ইজিবাইকের লাইসেন্স দিয়েছে। তবে বর্তমানে নগরীতে চলাচল করছে ২০-২৫ হাজার ইজিবাইক। মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, নগরীতে ট্রাফিক পুলিশের আনুমানিক ২০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণে ৩০০ থেকে ৩৫০ পুলিশ সদস্য দরকার।