রাজধানী সদরঘাট টু গাজীপুর রুটের ভিক্টর ক্লাসিক বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বাস আটক করে বিক্ষোভ করলে বাস মালিকপক্ষ দোষ স্বীকার করে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। 


এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ভিক্টর ক্লাসিক বাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ভাড়া না নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা।

 

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে বাস মালিক পক্ষ ও  শিক্ষার্থীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  


এর আগে গতকাল সোমবার এক শিক্ষার্থী বাসে ওঠার পরপরই চালক ও সহকারী তার উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করতে থাকেন এবং শারীরিকভাবে হেনস্তার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী বাসে থাকা অন্য যাত্রীদের সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে তিনি বাস থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জবি নিরাপত্তা সেল’-এ অভিযোগ করেন।

 

এ ঘটনার প্রতিবাদে জবি নিরাপত্তা সেলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন এবং ভিক্টর ক্লাসিকের ১০টি বাস আটকে মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসে। দুই পক্ষের আলোচনায় মালিকপক্ষকে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয়। 


শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-

১. শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার দায় ভিক্টর ক্লাসিক মালিক সমিতিকে নিতে হবে।

২. অভিযুক্ত স্টাফদের চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. আসন্ন ঈদুল ফিতর পর্যন্ত জবি শিক্ষার্থীদের ভাড়া মওকুফ করতে হবে।

৪. পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না।

৫. ভিক্টর ক্লাসিক বাসের স্টাফ, ড্রাইভার, হেল্পার ও কন্ট্রাক্টরকে নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. নারী শিক্ষার্থীদের ও যাত্রীদের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে কি না, এ জন্য প্রতিটি বাসে অভিযোগ বক্স রাখতে হবে।

৭.  জরুরি পুলিশ সহায়তার জন্য সরকারি হটলাইন নম্বর রাখতে হবে ও মানবাধিকার সংস্থার হটলাইন নম্বর রাখতে হবে।

 

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা ঘটলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি এসব দাবি বাস্তবায়নে ভিক্টর ক্লাসিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক মানিক ও সহ-সভাপতি মো. আসলাম স্বাক্ষর করেছেন।