রমজানের প্রথম দিনেই বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। বেগুন, শসা এবং লেবুর দাম ঢাকার প্রতিটি বাজারে আকাশচুম্বী।
আপেল, কমলা, মাল্টাসহ বিদেশি সব ফলের দাম চড়া। দেশি ফলের মধ্যে প্রতি পিস ডাবের দাম আগের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। ভোজ্য তেলের সরবরাহ কম থাকায় আগে থেকেই পণ্যটি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর খিলক্ষেত, জোয়ার সাহারা ও মহাখালী বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে আগে বেগুনের কেজি ছিল ৫০-৬০ টাকা, গতকাল তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০-১০০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও ২০-৪০ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া লেবুর হালি জাতভেদে ছাড়িয়েছে ৬০-১০০ টাকা। বাজারে এলাচি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা হালিতে, কাগজি লেবু ৭০-৯০ টাকা এবং শরবতি লেবুর হালি ৮০-১০০ টাকা। বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৯০ টাকা কেজিতে। সবজির পাশাপাশি ফলের দামও আগের তুলনায় বাড়তি। প্রতি কেজিতে মাল্টার দাম বেড়েছে ৫০-৮০ টাকা। বাজারে দেশি মাল্টার সরবরাহ কম, আমদানি করা মাল্টা কিনতে হচ্ছে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে। কোথাও কোথাও দাম আরও বেশি চাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিদেশি কমলার দাম পড়ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। কমলার দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। বাড়তি আপেলের দামও। আপেলের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারে সবুজ আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজিতে।
বিদেশি ফলের দাম বেশি হওয়ার কারণে বেড়েছে দেশি ফলের চাহিদা। এই সুযোগে দেশি ফলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০-১৩০ টাকা, তরমুজ ৬০-৮০ টাকা কেজি ও আনারস প্রকারভেদে ৪০-১০০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ১২০-১৫০ টাকা কেজি, বাঙ্গি প্রতি পিস ১০০-১৫০, বেল ৮০-১২০ পিস, কলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি ফল প্রতি পিস ডাবের দাম আগের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। অন্যদিকে বড় আকারের এক পিস ডাব ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলে গত কয়েক মাস ধরেই চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে আধা লিটার থেকে এক লিটার ওজনের বোতলজাত তেলের সংকট। বাজারে মেশিনে ভাজা খোলা মুড়ি ৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। গত পরশু ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। হাতে ভাজা মুড়ির কেজি উঠেছে ১৫০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে দুই ধরনের ছোলা ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১২৫ টাকায়।