রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় ৩০টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। এরই মধ্যে অনেক রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তিন বছর মেয়াদি এ উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ গত বছরের জুনে শেষ হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। তবে এখনো অধিকাংশ কাজ বাকিই আছে। কিন্তু যেসব রাস্তার কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোর ওপরের অংশের পিচঢালা পাথর উঠে যাচ্ছে। এতে করে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে।
অভিযোগ আছে, প্রতিটি উন্নয়ন কাজে রাসিকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আগে ২০-২৫ ভাগ পর্যন্ত কমিশন আদায় করতেন। এর বাইরে প্রকৌশলীরা নেন ৩-৫ পার্সেন্ট কমিশন। এতে কাজের মান আরও খারাপ হচ্ছে। তবে বিভাগীয় কমিশনার প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পরে এখন অনেকটা পরিস্থিতি ভালো হয়েছে বলেও দাবি করেন অনেকেই। কিন্তু প্রকৌশলী দপ্তরের কমিশন থামেনি এখনো।
স্থানীয়রা বলছেন, যেসব রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কার করা হয়েছে সেসব রাস্তায় অধিকাংশ ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে বাড়ি ভাঙা পুরনো ইটের। আবার ওপরের অংশে যে পরিমাণ বিটুমিন ও পাথর দিয়ে কার্পেটিং করার কথা ছিল, সেখানেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফলে ছয় মাস না যেতেই ওয়ার্ড পর্যায়ের ওইসব রাস্তাগুলোর কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সরেজমিন রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষোভও ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
অনিয়ম সম্পর্কে রাসিকের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহমদ আল মইন বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। এসব নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’ রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘কোনো কাজে অনিয়ম হয়ে থাকলে, সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কাউকেই এখন আর নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না।’